Tuesday, June 11, 2019

যুবলীগ নেতার কার্যালয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনটি মামলা

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ এবং পরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় সোমবার তিনটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত তিনজন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, যুবলীগ নেতার কার্যালয়ে দীর্ঘদিন অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিলো বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা নতুন নয় বলেও দাবি তাদের। এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় না দেয়ার হুশিয়ারি জেলা পুলিশ সুপারের।
নির্যাতিতা বলেন, 'দুজনেই আমার সঙ্গে অনেক বাজে কাজ করতে চেয়েছে। আমি চিল্লাচিল্লি করলে ওড়না দিয়ে তারা আমার মুখ বেঁধে নিছে। তারা বলছে এটা আমাদের এরিয়া এখানে চিল্লাচিল্লি করলেও কেউ আসবে না।'
প্রেমের ফাঁদে ফেলে চট্টগ্রামের পদ্মা গার্মেন্টসের নারী কর্মীকে কুমিল্লায় ডেকে নেয় কুমিল্লার আলামিন। এরপর, ইলিয়টগঞ্জের একটি মৎস্য খামারে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে আলামিন ও তার তিন সহযোগী। নির্যাতিতাকে মারধরের পর তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় ওই বখাটেরা। খবর পেয়ে পরদিন ৮ই জুন, মৎস্য খামার থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী বলছেন, ঢাকা-চটগ্রাম মহাসড়কের পাশে মৎস্য খামারের ওই কক্ষটি নিজের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শরীফুল্লাহ সরকার। নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কার্যালয়ে মাদকসহ নানা অপকর্মের আখড়া বানানো হয়েছিলো বলে অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কুমিল্লা  দাউদকান্দি ইলিয়টগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন যেহেতু শরীফের অফিসে এই ঘটনা ঘটছে তাহলে শরীফ জড়িত থাকতে পারে। এটা অসম্ভব কিছু নয়।'
সোমবার সকালে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এসময়, নানা অপকর্মের আখড়া বন্ধসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়।
এদিকে, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ ও অস্ত্র আইনে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। এতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক দু'জনসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এরআগে, গণধর্ষণের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতিতা। এ মামলায় গ্রেফতার আলামিন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

No comments:

Post a Comment